পশ্চিমবঙ্গে কেন এন.আর.সি চাই তার উত্তরটি খুব সহজ। বাংলাদেশ গঠনের পর বিশেষত বামফ্রন্ট সরকার আসার পর দলে দলে বাংলাদেশী মুসলমানরা পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে থাকে। ৬মে, ১৯৯০ সালে ভারতের কম্যুনিস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত লােকসভায় বলেছিলেন যে ভারতে ১ কোটি বাংলাদেশী আছে। ১১ই অক্টোবর ১৯৯২ এর গণশক্তি পত্রিকায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু লিখলেন, ১৯৭৭ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত বি.এস.এফ ২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন বাংলাদেশীকে তাড়িয়ে দিয়েছে... মােবাইল টাস্ক ফোর্স ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৯৮৫ জন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এরপর ১৪ই জুলাই ২০০৪ সালে কংগ্রেসের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জয়সােয়াল লােকসভায় জানালেন যে ভারতে মােট ১ কোটি ২০ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯৫০ জন বাংলাদেশী রয়েছে। অবশেষে ২০০৫-এ লােকসভাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের সমস্যা ও সিপিএম তাদের দিয়ে ভােট করানাের অভিযােগ তুলে স্পিকারকে কাগজপত্র ছুড়ে হৈচৈ বাঁধালেন। সুতরাং পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ যে ভয়ানক সমস্যা তা জ্যোতি বসু থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাই জানেন। জ্যোতি বসুরা বাংলাদেশি মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে মূলত ভােটের খেলা খেলছিলেন ক্ষমতায় থাকার জন্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল বাংলাদেশি মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ করবার ইসলামি পরিকল্পনায় মদত দিচ্ছেন। আমরা চাই পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী মুক্ত করে পশ্চিমবঙ্গ
যে আদর্শে গঠিত হয়েছিল তা ফিরিয়ে আনতে। সেজন্য আইনী ও সাংবিধানিক পথে পশ্চিমবঙ্গে এন. আর. সি চালু করে বাংলাদেশী, অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করতে। এর জন্য কোনাে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান উদ্বাস্তু বিন্দুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না কারণ ২০১৫ সালে পাসপাের্ট ও বিদেশী আইন সংশােধন করা হয়ে গেছে। এছাড়া নাগরিকত্ব বিল সবাই মিলে পাশ করাতে হবে যাতে আগামী দিনে উদ্বাস্তুরা সবাই নাগরিকত্ব পেয়ে যান। খুব পরিষ্কার করে উদ্বাস্তু ও অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে যে বিরাট তফাৎ তা বলতে হবে। তারপর বলতে হবে এন. আর. সি চালু করবার কথা।
পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপূর্ব ভারতকে যদি ইসলামি মৌলবাদী আধিপত্য ও দখলের হাত থেকে বাঁচাতে হয় তবে এন, আর. সি করে বাংলাদেশী মুসলমানদের চিহ্নিত করে তাদের বিতাড়িত করতে হবে। কোন ভারতীয় মুসলমানের এতে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। এটা কোন রাজনৈতিক দলের বিশেষ স্বার্থ রক্ষার ব্যাপার নয়, এটা পশ্চিমবঙ্গের অস্তিত্বের প্রশ্ন। আগামী দিনে এই তােষণ নীতির জন্য কি আবার উদ্বাস্তু হতে চান? সোর্স - ইন্টারনেট
0 Comments