এন.আর.সি নিয়ে হৈচৈ এর দুটি কারণ রয়েছে।
এক, প্রচুর লােকের মূলত বাংলাভাষীদের অভিযােগ যে তারা প্রমাণপত্র দেওয়া সত্ত্বেও তাদের নাগরিক তালিকায় নাম ওঠেনি। এর মধ্যে কিছু সত্যতা আছে। যে কোনাে বৃহৎ সরকারি কাজে এ ধরণের ভুল হওয়াটাই আমাদের দেশে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। এছাড়া অন্যান্য রাজ্যে যেসব মানুষদের নামের নথি পরীক্ষা করবার জন্য পাঠানাে হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গ তা করতে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসামে বসবাস করতে যাওয়া ১ লক্ষের বেশী নাম । নাগরিক তালিকায় ওঠেনি |
দুই—প্রতিবাদ করছেন ভারতে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী মুসলমানদের বন্ধু দলগুলি। সংসদে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম প্রতিবাদ জানিয়েছে যার মূল কথা মুসলমানদের বাদ দেওয়া যাবে না। আসামের মতাে পশ্চিমবঙ্গের জনগণনার চরিত্র দেখলেই বােঝা যাবে। পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশী মুসলমানদের অবাধ প্রবেশের শুরু জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর। এই বাংলাদেশী মুসলমানরা ভােট, অস্ত্রশস্ত্র, বােমা,মাদ্রাসা ইত্যাদি নিয়ে তৃণমূল সরকারের বড় সম্পদ। সুতরাং আসাম থেকে বাংলাদেশী মুসলমানদের যদি বিতাড়িত করা যায়, অন্ততঃ তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে ভােটাধিকার ও অন্যান্য সরকারি সুবিধা থেকে বাদ দিয়ে আসামকে নিরাপদ করা যায় তবে পশ্চিমবঙ্গে তা করতে হবে এর পরেই। এজন্যই হৈ চৈ। সোর্স- ইন্টারনেট
0 Comments