এরপরই শুরু হল মুসলিম তােষণবাদীদের খেলা। এই আইনটি পাস হয়ে গেলে হিন্দু উদ্বাস্তুরা নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন কিন্তু বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসা মুসলমান অনুপ্রবেশকারীরা এই অধিকার পাবে না। বাংলাদেশী মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিতাড়নের কোন আইনী জটিলতা থাকবে না। ফলে বাংলাদেশী মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের জন্য মাঠে নেমে পড়লেন সেকুলার নেতারা। বিলটি লােকসভায় পেশ করা হলে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি প্রধান দল তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআইএম ও কংগ্রেস-এর বিরােধিতা করলাে। এদের বিলের বিরােধিতার কারণ একটাই কেন এই বিল থেকে মুসলমানদের বাদ দেওয়া হল। এদের সবার মূল কথা এই বিল সংবিধান বিরােধী। এটি সংবিধানের ১৮ নং মৌলিক অধিকারকে খবিত করে। ধর্মের ভিত্তিতে এই বিভাজন সম্ভব নয়। এই অভিযােগগুলির জবাব এই আইনটি করা হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের উদ্বাস্তুর সংজ্ঞা অনুযায়ী যা আগেই বলা হয়েছে। সত্যিকারের উদ্বাস্তু স্বার্থে যারা আন্দোলন করেন। তাদের উচিত এই তিনটি দলের বিরুদ্ধে উদ্বাস্তুদের সচেতন করা ও এদের ইসলামি তােষণবাদী রূপকে চিনিয়ে দেওয়া। যাদের অত্যাচারে উদ্বাস্তু হয়ে মানুষেরা পালিয়ে এসেছেন সেই লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশি মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করাই এই তিনটি দলের মূল উদ্দেশ্য। এজন্যই এই বিলটি পশ্চিমবঙ্গের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ অস্তিত্ব নির্ধারণ করবে।
0 Comments